মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসীদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত দুর্ভোগ নতুন কিছু নয়। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান EXPAT SERVICES KUALA LUMPUR (ESKL)-এর মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট সেবা আধুনিকায়ন হওয়ায় দুর্ভোগ অনেকটাই কমে সহনীয় পর্যায়ে এসেছে। তবে, এখনো জন্মনিবন্ধন এবং ভোটার আইডি কার্ডের সঙ্গে বর্তমান পাসপোর্টের তথ্যের মিল না থাকার কারণে পাসপোর্ট আবেদন ও নতুন পাসপোর্ট পেতে বিলম্ব হচ্ছে।
এতসব জটিলতা পেরিয়ে যখন একজন প্রবাসীর পাসপোর্ট বিতরণের জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশনে আসে, তখন থেকেই শুরু হয় নতুন দুর্ভোগ। একটি পাসপোর্ট যখন বিতরণের জন্য প্রস্তুত হয়, তখন একজন প্রবাসীকে বাংলাদেশ হাইকমিশনের পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে পাসপোর্ট নিতে হয়। দীর্ঘ অপেক্ষার পর পাসপোর্ট হাতে পেলেও প্রবাসীদের দুর্ভোগের অবসান হয় না। দুঃখজনকভাবে, এখানেই শেষ নয়! নতুন ই-পাসপোর্ট হাতে পেলেও সেটি অ্যাক্টিভ করা থাকে না। প্রবাসীকে আবার সেখান থেকে EXPAT SERVICES KUALA LUMPUR (ESKL)-এ যেতে হয়। সেখানে গিয়ে আবার লাইনে দাঁড়িয়ে তার পাসপোর্টটি অ্যাক্টিভ করে নিয়ে আসতে হয়। এর ফলে প্রবাসীদের বাড়তি ১৫ থেকে ২০ রিঙ্গিত গাড়ি ভাড়া গুনতে হয়।
হাইকমিশন থেকে এই পাসপোর্ট সংগ্রহের আরেকটি উপায় হচ্ছে পোসলাজু কুরিয়ারের মাধ্যমে আবেদন করা। এভাবে নিলে একজন প্রবাসী মালয়েশিয়ার যে প্রান্তেই থাকুক না কেন, তার নিকটস্থ পোসলাজু অফিস থেকেই পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন। সেক্ষেত্রে ESKL-এ গিয়ে পাসপোর্ট অ্যাক্টিভেশনের ঝামেলা থাকে না, কারণ হাইকমিশন থেকেই পাসপোর্ট অ্যাক্টিভ করে পাঠানো হয়।
এবার হয়তো ভাবতে পারেন তাহলে তো পোসলাজু দিয়ে নিলেই তো ভালো সেখানে এই অ্যাক্টিভ করার ঝামেলা থাকছে না। কিন্তু সেখানেও রয়েছে দুর্ভোগ। স্বাভাবিক ভাবে পোসলাজুতে পাসপোর্ট নেওয়ার জন্য আবেদন করতে ৭ দিনের মধ্যে পেয়ে যাওয়ার কথা কিন্তু অত্যান্ত দুঃখের বিষয় হলো ১ মাসেও পাসপোর্ট পাচ্ছে না প্রবাসীরা।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে:
- প্রথমত, পাসপোর্টের আবেদন থেকে শুরু করে ডেলিভারি পর্যন্ত কেন ওয়ানস্টপ সার্ভিস করা যাচ্ছে না? কেন প্রবাসীদের একবার ESKL এবং একবার হাইকমিশন এভাবে ঘোরানো হচ্ছে?
- দ্বিতীয়ত, পোসলাজু দিয়ে পাঠানোর সময় যদি পাসপোর্ট অ্যাক্টিভ করে পাঠানো যায়, তাহলে সরাসরি হাইকমিশন থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে গেলে হাইকমিশন কেন অ্যাক্টিভ করে পাসপোর্ট দিতে পারে না?
- তৃতীয়ত, পোসলাজু দিয়ে পাঠাতে ৭ দিনের জায়গায় কেন ১ মাসের উপরে লাগছে?
আসলেই কি তারা পারে না, নাকি সদিচ্ছার অভাব?