শুধু মাত্র মালয়েশিয়া প্রবাসীরাই পাচ্ছে ভি আই পি ই-পাসপোর্ট সেবা

প্রবাস ডেস্ক, মালয়েশিয়াঃ দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত দুর্ভোগ ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। পাসপোর্ট আবেদন থেকে শুরু করে হাতে পাওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হতে হতো রেমিটেন্স যোদ্ধাদের। হাইকমিশনের অসাধু কর্মকর্তা এবং দালালদের যোগসাজশ এই ভোগান্তির অন্যতম প্রধান কারণ ছিল। প্রবাসীরা বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদ করলেও সমস্যার সমাধানে তেমন কার্যকর উদ্যোগ দেখা যায়নি।

তবে আশার কথা, মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য এই সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়েছে। এখন তারা পাচ্ছেন ভিআইপি ই-পাসপোর্ট সেবা। বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং হাইকমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান EXPAT SERVICES KUALA LUMPUR (ESKL) এই সেবা প্রদান করছে।

ESKL: প্রবাসীদের সেবায় নিবেদিত

ESKL-এর পরিচালক গিয়াস উদ্দিন বলেন-

রেমিটেন্স যোদ্ধারা আমার ভাই, বাংলাদেশের অর্থনীতির একটা বড় হাতিয়ার এই রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে খেটে খাওয়া প্রবাসীরাই। তাদেরকে ওয়ানস্টপ সার্ভিস দিয়ে তারা যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের পাসপোর্ট হাতে পায় সে লক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি, কারন এটা তাদের অধিকার

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও ESKL-এর সেবা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আবেদনকারীরা অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে প্রবেশ করতে পারেন। ভেতরে তাদের একটি টোকেন দিয়ে বসার ব্যবস্থা করা হয়। টোকেনের সিরিয়াল অনুযায়ী যখন ডাকা হয়, তখন কোন কাউন্টারে যেতে হবে তাও বলে দেওয়া হয়। কাউন্টারে কর্তব্যরত ব্যক্তি আবেদন সম্পন্ন করে, নির্ধারিত ফি জমা নিয়ে বায়োমেট্রিক করানোর জন্য বায়োমেট্রিক কক্ষে পাঠান।

এখানে আবেদনকারীদের জন্য রয়েছে বিশাল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া ছাড়া কোনো প্রকার ফর্ম পূরণ বা ব্যাংক ড্রাফট করতে হচ্ছে না। মালয়েশিয়াতে অবস্থিত সাধারণ প্রবাসীরা এই ই-পাসপোর্ট সেবা নিয়ে অত্যন্ত সন্তুষ্ট।

একজন প্রবাসী জানান, “আমরা ESKL-এর সার্ভিস নিয়ে খুবই সন্তুষ্ট। আগে আমাদেরকে হাইকমিশনে গিয়ে ঠেলা-ঠেলি করে রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে পাসপোর্টের আবেদন জমা দিতে হতো, তার পরিবর্তে আমরা এখন ভিআইপি সার্ভিস পাচ্ছি।”

অভিযোগ এবং প্রতিকার

তবে এত ভালো সেবার মধ্যেও ESKL নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু অভিযোগ দেখা যায়। অভিযোগের বিষয়ে পরিচালক গিয়াস উদ্দিন বলেন, “আমরা প্রতিদিন ১২০০-১৪০০ সেবাগ্রহীতাকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি, সেখানে এমন ২/১টা অভিযোগ থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। তবে আমরা চেষ্টা করছি সেগুলোকে খুঁজে বের করে আরও ভালো সার্ভিস দেওয়ার লক্ষ্যে।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা যেভাবে সার্ভিস দিচ্ছি সেখানে দালালদের কোনো সুযোগ নেই, তাই ওই দালাল চক্র কিছু অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমাদের ফোকাস প্রবাসীদের সেবা দেওয়া, আমরা সেটাই করে যাচ্ছি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *